হাওজা নিউজ এজেন্সি: পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে স্পিকার আয়াজ সাদিকের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এসব মন্তব্য করেন। ইরানি সংসদীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে তিনি এই সফরে রয়েছেন।
কালিবফ তাঁর পাকিস্তান সফরকে সন্তোষজনক উল্লেখ করে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতি পাকিস্তানি জনগণের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, কঠিন সময়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানো দুই দেশের গভীর বন্ধুত্বেরই প্রতিফলন। তাঁর আশা, এই সফর আন্তঃসংসদীয় সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।
সম্প্রতি ইরানি ভূখণ্ডে ইসরাইলের হামলার প্রসঙ্গে কালিবফ বলেন, প্রাথমিক কয়েক ঘণ্টা কঠিন হলেও ইরান দ্রুত ও দৃঢ় জবাব দিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৪৮ সালে অবৈধ ইসরাইলি শাসন প্রতিষ্ঠার পর থেকে এত বড় আঘাত তারা আর কখনো পায়নি।
তিনি বলেন, ইরান ও পাকিস্তান বহু অভিন্ন স্বার্থের কারণে ইসরাইলি সম্প্রসারণবাদ ও এর মিত্রদের মোকাবেলায় ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারে।
কালিবফ আরও জানান, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক—সব ক্ষেত্রেই দুই দেশের বিস্তৃত সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে তিনি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচেষ্টা সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার আয়াজ সাদিক পাকিস্তান জনগণ ও সরকারের পাশে থাকার জন্য ইরানকে ধন্যবাদ জানান। ইসরাইলি হামলার জবাবে ইরানের প্রতিক্রিয়ার জন্য তিনি অভিনন্দনও জানান। তিনি বলেন, পাকিস্তান পার্লামেন্ট এই হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব পাস করেছে। তাঁর ভাষায়, “ইরান ও পাকিস্তান—এক জাতি, শুধু একটি সীমান্ত তাদের আলাদা করে রেখেছে।”
তিনি আরও জানান, দুই দেশের সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ শিগগিরই বৈঠকে বসবে এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারের জন্য নতুন কৌশল প্রণয়ন করবে। দুই দেশের শীর্ষ সংসদীয় কর্মকর্তারা পারস্পরিক উদ্যোগ ও সম্পর্ক উন্নয়নে বিস্তারিত আলোচনা করবেন।
আপনার কমেন্ট